৫ আগস্ট বিজয়উল্লাসে হাসিনা বাহিনীর নির্মমতার আরেক উদাহরণ শিশু জাবিরের হত্যা
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিজয়উল্লাসে শেখ হাসিনা বাহিনীর নির্মমতার আরেক উদাহরণ শিশু জাবির ইব্রাহিমের হত্যা, যা সকল নির্মমতাকেও হার মানায়। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহত শিশুরা বা তার পরিবার জানে তাদের মৃত্যুর কারণ। কিন্তু জাবিরের বাবা জানে না কেন তার ছেলেকে গুলি করা হলো? সে এখনও জানে না তার ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জাবির ইব্রাহিমের বয়স সবে ছয় বছর পেরিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে খুব বেশি কিছু তার বোঝার কথা না। তবে টেলিভিশন দেখে ও বড় ভাই-বোনদের কাছ থেকে জেনে সে আফসোস করত। শিশুসহ অন্যদের মেরে ফেলার বিষয়টি তাকে খুব পীড়া দিত।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট সকালে মাথায় একটি হেলমেট পরে জাবির। এরপর তার বাবাকে বলে, ‘আমি আর্মি অফিসার হব।’ বাবা প্রশ্ন করেন, ‘কেন?’ জাবির বলতে থাকে, ‘আমি আর্মি হয়ে পুলিশকে মারব। পুলিশ আমার ভাইদেরকে মারতেছে এ জন্য তাদেরকে মারব। বাড়ির সবাই তার কথায় অবাক হয়ে যায়।
ওই দিন দুপুরের দিকে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বিজয়োল্লাসে যোগ দিতে যান কবির হোসেন ভূঁইয়া। হাজার হাজার মানুষ তখন আনন্দমিছিল করছিল। খুব খুশি ছিল শিশু জাবির।
কখনো মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে, কখনো আঙুল উঁচিয়ে বিজয় উদযাপনে সে-ও ছিল ব্যস্ত।
কথা হলে কবির হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি সেতুর ওপর থাকা অবস্থায় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পাই। লোকজনও দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আমিও পরিবারের লোকজন নিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। জাবিরের ডান হাত ছিল আমার বাঁ হাতে ধরা।
হঠাৎ একটি গুলি এসে জাবিরের পায়ে লাগে। একটু দূর গিয়েই জাবির নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকদের অনেক অবহেলা ছিল। পরে ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক জাবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জাবিরদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাই শিমুল গ্রামে। তবে তাদের পরিবার ঢাকার উত্তরায় থাকত। জাবির পড়ত উত্তরার কেসি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারি বিভাগে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জাবির ছিল ছোট।
জাবিরের নামে মোগড়া-মনিয়ন্দ-তুলাই শিমুল সড়কের নামকরণ কিংবা তুলাই শিমুল এলাকার প্রস্তাবিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার দাবি জানিয়েছেন তার বাবা কবির হোসেন ভূঁইয়া। আখাউড়ায় অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।
জাবিরের মৃত্যুকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। জাবিরের পরিবারসহ তার চাচাদের পরিবারের সবাই আন্দোলনে যোগ দেয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা। জাবিরের নামে কোনো একটা প্রতিষ্ঠানের বা স্থাপনার নামকরণ হওয়ায় আশায় আছেন পরিবারের সদস্যরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সচিবালয়ে আগুন পরিকল্পিত: প্রকৌশলী ইকরামুল খান
সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে আটকা পড়েছেন ৭১ পর্যটক
জকিগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতির লক্ষে ইসিফোরজে’র প্রি-ওয়ার্কশপ
উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি গঠন, ৩ কর্মদিবসে প্রাথমিক প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণপাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা
কালীগঞ্জে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি
পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় গৌরনদীতে উপ-সহকারী ২ কৃষি কর্মকর্তা এলাকাবাসীর হাতে আটক
‘প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ও সম্পদ দখল করে পতিত সরকারের শিল্পমন্ত্রীর কন্যা’
আশিয়ান সিটির স্টলে বুকিং দিলেই মিলছে ল্যাপটপ
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা: ইসলামী আইনজীবী পরিষদ